প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২১ , ৭:৩৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
করোনাকালেও থেমে নেই কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে মানুষের দান-সদকা। ৪ মাস ২৬ দিন পর আজ শনিবার পৌনে নয়টার দিকে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মসজিদ কমিটিসহ ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে আটটি দানবাক্সের সিন্দুক খোলা হয়। এসব সিন্দুক থেকে ১২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
1এখন বস্তাগুলো মসজিদের দ্বিতীয়তলার মেঝেতে ঢেলে গণনা চলছে। পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকাগুলো গণনা করছেন।
এসময় সেখানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহিম ও মো. উবায়দুর রহমান শাহেল উপস্থিত ছিলেন।
তারা জানান, টাকা গণনা শেষ হতে বিকেল হয়ে যাবে। শেষ হলে হিসেব করে ব্যাংকে জমা রাখা হবে এ টাকা।
এর আগে সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সিন্দুর খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। এবার ৪ মাস ২৬ দিন পর এ সিন্দুক খোলা হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।
গতবছর করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর লকডাউনের সময়ে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল সীমিত করে দেয়া হয় ও নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়া হয়। এ পরিস্থিতিতেও মসজিদে মানুষ দান অব্যাহত রাখেন।